ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু (মাটি কাটার মেশিন) ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্রকল্পের সভাপতি আলাউদ্দিন মাতুব্বরের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী এমন অভিযোগ তুলেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাতৈর ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামের রামদিয়া ভিটা থেকে দড়িরামদিয়া মুকাশেরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকার প্রকল্প দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের সভাপতি আলাউদ্দিন মাতুব্বর ২০-২৫ দিন আগে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলন করেন। তিনি টাকা উত্তোলন করে শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু দিয়ে ভেকুর মালিকের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করেন। এই প্রকল্পের আরও দুই কিস্তির টাকা এখন পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়নি।
প্রকল্পের সভাপতি ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ‘আমি প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে প্রকল্পের দুই লাখ টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলন করেছি। ওই টাকা দিয়ে প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ ভেকু দিয়ে শেষ করেছি।’
কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের কাজ শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু দিয়ে কেন করা হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না, সবকিছু জানেন আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান।’
এ বিষয়ে সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কোনও নিয়ম নেই। শ্রমিক না পাওয়ার কারণে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে।’ ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রণব পাণ্ডে বলেন, ‘এমন নিয়ম নেই। প্রকল্পের কাজ কীভাবে হয়েছে আমার জানা নেই। প্রকল্পের কাজ ভেকু দিয়ে হয়েছে না শ্রমিক দিয়ে হয়েছে তা আমি খোঁজখবর নেবো।’