লকডাউনে রাস্তায় পোশাকশ্রমিকদের ভোগান্তি

কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাভারের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বিগুণ ভাড়ায় গাদাগাদি করে কারখানায় গেছেন অনেক শ্রমিক। অনেকেই হেঁটে নিজ নিজ কারখানায় গেছেন।

সকালে আশুলিয়া-টঙ্গী, ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও ইপিজেড সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গণপরিবহনের জন্য শ্রমিকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। রিকশা কিংবা ভ্যান পেলেই বেশি ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে কারখানায় যাচ্ছেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহন না পেয়ে হেঁটে কারখানায় গেছেন অনেক শ্রমিক।

শ্রমিকরা জানিয়েছেন, লকডাউন ঘোষণার পর সকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। প্রতিবারই লকডাউনে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে কারখানা খোলা রেখে এ কেমন লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই চান কারখানার শ্রমিকরা।

কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাভারের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা

এদিকে, লকডাউন বাস্তবায়নে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের। সকাল থেকে তারা সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। পোশাকশ্রমিকদের জন্য কিছু পরিবহন সড়কে দেখা গেলেও সকাল ১০টার পর থেকে দেখা যায়নি। রাস্তায় ছিল না কোনও বাস, মিনিবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি।

অপরদিকে, কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছেন ভ্র্যাম্যমাণ আদালত। এ সময় কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে সাভারে এক প্লাটুন সেনাবাহিনী ও এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।