ভাড়া বাড়িয়েও লঞ্চগুলো নিচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী 

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চের ভাড়া বাড়িয়েও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার লঞ্চঘাটে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। 

এদিকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে পাঁচ জন সুকানিকে এক হাজার টাকা করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাওন এক্সপ্রেস-২ লঞ্চের মিজানুর রহমান, ডালিম-২ এর সৈয়দ আদর আলী, এমএল তুলি অ্যান্ড দোলা লঞ্চের মঞ্জিল, এমভি সাফি খানের সাবিল খান ও এমএল আমজাদ-১ এর মো. ফয়জুল হক।

দুপুরে লৌহজং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাউসার হামিদ ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের এই দণ্ড দেন। এর আগে, ঘাটে দায়িত্বরত মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে তাদের আটক করেন।

অতিরিক্ত যাত্রী বহনে লঞ্চের পাঁচ সুকানিকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতজানা গেছে, নৌ রুটে স্বাভাবিক সময়ে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ছিল ৩৫ টাকা। কিন্তু, করোনার মহামারিকালে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার সরকারি নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বাড়িয়ে জনপ্রতি ৫৫ টাকা করা হয়েছে। তবে কিছু লঞ্চ নিয়ম মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেও অনেক লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. সোলেমান। 

তিনি জানান, আমরা যতটা পারি নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, বাংলাবাজার ঘাট থেকে অনেক সময় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। এ বিষয়ে বাংলাবাজার ঘাটের পরিদর্শককে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর আমাদের ঘাটেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে এমভি সালমা শারমিন ও চৌধুরী শিপিং নামো দুটি লঞ্চের চলাচল স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।