ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই। রবিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে দুই মহাসড়ক দিয়ে যানজটহীন যাতায়াত করছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। তবে সাইনবোর্ড, কাঁচপুর, মদনপুর ও মেঘনাঘাট টোল প্লাজায় মাঝে মাঝে যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব পয়েন্টে পার হতে প্রতিটি গাড়ির ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ফুটওভার ব্রিজের দুইটি খুঁটি মহাসড়কের মাঝামাঝি পড়ায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে ও ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রবেশ করতে সিগন্যাল দিয়ে যানবাহন ছাড়তে হচ্ছে। তবে দুপুরের দিকে যানবাহনের চাপ কম থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই সাইনবোর্ড পার হয় গণপরিবহনসহ অন্যান্য যান।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় এসেও সিগন্যালে আটকাতে হচ্ছে। জয়েদেবপুর-মদনপুর (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়ক দিয়ে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক এসে মহাসড়কে উঠছে। এছাড়া মদনপুর সড়কের পাশেই বসেছে গরুর হাট। এ হাটে প্রতিনিয়ত গরুবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। এজন্য কিছুক্ষণ পর পরই মহাসড়কে সিগন্যাল দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী যানবাহনকে আটকে থাকতে হচ্ছে। প্রতিটি সিগন্যালে প্রায় আট থেকে ১০ মিনিট আটকে থাকতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ অংশে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই

মেঘনা টোল প্লাজায় সকাল থেকে কোনও যানজট সৃষ্টি হয়নি। গাড়ি এসে স্বাভাবিক নিয়মে টোল পরিশোধ করে দ্রুত সময়ে চলে যাচ্ছে। কাঁচপুর সেতু পার হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপেক্স সিনহা গার্মেন্টস কারখানার সামনে এবং রূপসী মোড় থেকে বরপা পর্যন্ত যানজট নেই। গত কয়েকদিন এই রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হলেও আজ অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা।

নরসিংদী রোডের বাসচালক আলম সরকার জানান, গত কয়েকদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত যানজট থাকলেও আজ তেমন যানজট নেই। মাঝে মাঝে জটলা তৈরি হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সচল হয়ে আসছে।

আরেক চালক মনোয়ার হোসেন জানান, চালকদের আগে যাওয়ার প্রবণতা এবং উশৃঙ্খল গাড়ি চালানো যানজটের জন্য অনেকটা দায়ী। সাইনবোর্ডে ফুটওভার ব্রিজের খুঁটি পড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। এখানে সব পরিবহনকে সিগন্যালে আটকে থাকতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট দুই মহাসড়কে সকাল থেকে যানবহনের চাপ বেশ ভালো ছিল। দুপুরের পর থেকে চাপ কিছুটা কমে এসেছে। 

তিনি আরও বলেন, সাইনবোর্ড ও মনদপুর পয়েন্টে চার রাস্তার মোড়। এ কারণে এখানে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি পাস করতে হয়। তাই যানজট হয় কিছুটা। কিন্তু আজ সকাল থেকে দুই মহাসড়কই স্বাভাবিক আছে। শুধু মদনপুর পয়েন্টে সিগন্যাল দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।