শিমুলিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি চরমে

দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে পদ্মা পারের জন্য সহস্রাধিক যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে। বাস ও ট্রাকের সারি ঘাট এলাকা পেরিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের চৌরাস্তা পেরিয়ে গেছে। এত যানবাহন ঈদের আগে পার করা সম্ভব কি-না তা নিয়ে সংশয়ে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বাসগুলো যাত্রীদের ঘাট থেকে দুই-তিন কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেওয়ায় দীর্ঘপথ হেঁটে তাদের ঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে। হাজার হাজার যাত্রীকে বৃষ্টিতে ভিজে ঘাটের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।

মোটরসাইকেল ও মানুষের চাপ আরও বেশি

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, নৌ রুটে ১৫টি ফেরি চলছে। তবে যানবাহনের সংখ্যা হাজারের বেশি হবে। মোটরসাইকেল ও মানুষের চাপ আরও বেশি।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীরা লঞ্চঘাটে ভিড় করছেন। বিগত কয়েক দিনের তুলনায় আজ যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। আসনের অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও সব লঞ্চেই অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। লঞ্চে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে বেশি। ৩৫ টাকার স্থলে এখন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫৫ টাকা।

সব লঞ্চেই অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে

বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক সাহাদাত হোসেন বলেন, নৌ রুটে ৮৩টি লঞ্চ চলছে। যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য ঘাটে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রায় ৯৯ ভাগ যাত্রী মাস্ক পরেছেন। তবে কিছু লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে নৌ পুলিশ, আনসার ও কোস্টগার্ড কাজ করছে। অনেক লঞ্চ ঘাট ছেড়ে যাওয়ার পরও ফিরিয়ে এনে অতিরিক্ত যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু লঞ্চকে জরিমানা করা হয়েছে।