পদ্মা সেতুর পিলারে ‘ধাক্কা লেগে’ ফেরির তলায় ফাটল

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে চলাচলরত রো রো ফেরি শাহ মখদুম পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ‘ধাক্কা লেগে’ ফেটে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেশ কিছু যানবাহন নিয়ে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়ার দিকে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ফেরিটির তলার দিকের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে যানবাহন আনলোড করে ফেরিটি মেরামত করে বিকাল থেকে আবার চলাচল করছে।

জানা গেছে, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পিলারে থাকা ধাক্কার চিহ্নের একটি ছবিও বাংলা ট্রিবিউনের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধির হাতে আসে।
 
এসব তথ্য দেখিয়ে জানতে চাওয়া হলে মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এটি পদ্মা সেতুর মূল পিলার নয়। দুর্ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে শাহ মখদুম ফেরির চালক আমির হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কা লাগেনি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি চালু করার সময় ধাক্কা লেগে যায়।’

তাহলে বাংলাবাজার ঘাটেই কেন যান ও যাত্রীদের নিরাপদে আনলোড করা হয়নি- জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। 
এতগুলো মানুষকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কেন ফেরি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনও অসুবিধা হয়নি। ৫৫ মিনিটেই শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে গেছি। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫-১৬ পিলারের মধ্যে দেওয়া মার্কিং মেনেই ফেরি চালিয়েছি।’

পিলারে থাকা চিহ্নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পদ্মা সেতুর পিলার পরীক্ষা করে দেখেছে।’ তার দাবি, ‘সেগুলো আগের চিহ্ন। আজকের নয়।’

এদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলারে কোনও ফেরির ধাক্কা লাগার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি জানি, বাংলাবাজার ঘাটে ফেরিটি দুর্ঘটনায় পড়েছিল।’