অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককেই বিয়ে করলেন সহকারী শিক্ষিকা

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে তাকেই বিয়ে করেছেন এক সহকারী শিক্ষিকা। শনিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলাম সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন ব্যাপারীর কান্দি গ্রামের আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে। তিনি তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিয়ের বিষয়টি ওই শিক্ষিকা মোবাইলফোনে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বিয়ে করেছি। বিয়েতে ছয় লাখ টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছে। আর উশুল ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। আমি প্রধান শিক্ষককে বিয়ে করে খুশি হয়েছি।  

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষিকার

এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, স্থানীয় আজহারুল গাজী, ইউসুফ মোল্লা, নাজমুল বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক আযহারুলের প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে উকিল বাবা হন স্থানীয় আজাহার গাজী।

এরআগে বিকালে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই সহকারী শিক্ষিকা। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকে ওই সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের সম্পর্ক চলে আসছে। গত ২২ জুলাই বাড়ি ফাঁকা থাকায় প্রধান শিক্ষক আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে মোবাইলফোনে তার বাড়িতে যেতে বলেন। আযহারুলের কথামতো রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকা সেখানে যান। তখন বিয়ের কথা বলে ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেন আযহারুল। তবে ওই শিক্ষিকা বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি থেকে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে শিক্ষিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ওই প্রধান শিক্ষক ও তার আত্মীয়রা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওই ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হবে।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, শনিবার বিকালে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক সহকারী শিক্ষিকা। পরে শিক্ষিকাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন শুনলাম তারা নাকি বিয়ে করে ফেলেছেন।