১৫ লাখেও ‘শাকিব খান’ ‘ডিপজল’কে বিক্রি করেননি জিসান

ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ও কলেজছাত্র জোবায়ের ইসলাম জিসান কয়েকটি গরু প্রস্তুত করেন। এর মধ্যে দুটি গরুর নাম দেন ‘শাকিব খান’ ও ‘ডিপজল’। দুটির ওজন প্রায় ৩১ মণ করে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে এবার বিক্রি করতে পারেননি তিনি। বিক্রি না হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই খামারি।

জানা গেছে, জিসান ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য ছয়টি ষাঁড় প্রস্তুত করেন। এর মধ্যে ‘শাকিব খান’ ও ‘ডিপজল’ নামের গরু দুটি সবচেয়ে বড়। ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দুটির বয়স দুই বছর সাত মাস করে। করোনার কারণে বড় গরুর দাম কম—এমন খবরে ষাঁড় দুটিকে হাটে তোলেননি জিসান। হাটে না তুললেও বাড়িতে এসেছিলেন একাধিক ক্রেতা। তারাও কাঙ্ক্ষিত দাম বলেননি। এজন্য ষাঁড় দুটিকে বিক্রি করেননি। তবে বাকি চারটি গরু বিক্রি করেছেন।

ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির নাম শাকিব খান

জিসান বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুইটি ষাঁড়কে বিক্রি করা হয়নি। করোনার কারণে দাম কম থাকায় হাটেও তুলতে পারিনি। বাড়িতে একাধিক ক্রেতা এসেছিলেন। শাকিব খানের ১৩ লাখ ও ডিপজলের দাম ১২ লাখ টাকা হাঁকা হয়েছিল। কিন্তু ক্রেতারা শাকিব খানের দাম আট লাখ ও ডিপজলের দাম সাত লাখ টাকা বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ষাঁড় দুটিকে বিক্রি করাটাই ভালো ছিল। এখন তাদের বিক্রি নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় আছি। আমার প্রতিটি দিন কাটছে চরম হতাশায়।’