‘ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চিঠির কোনও মূল্য নেই’

ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিঠির কোনও মূল্য নেই বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই বলেন তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে রো রো ফেরি শাহজালাল ধাক্কা দিলে বিআইডব্লিউটিসির গঠিত তদন্ত কমিটি ফেরিঘাট স্থানান্তরের সুপারিশ করে। সে সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিসি ২৫ জুলাই ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালককে চিঠি দেন।

ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চিঠিবিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত শিমুলিয়া ফেরিঘাটটি পুরাতন মাওয়া ঘাটে অথবা বাংলাবাজার ঘাটটি মাঝির কান্দির ঘাটে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা যেতে পারে।

তবে, এ চিঠির উত্তরে ২৬ জুলাই পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিসিকে চিঠি দেয়। সে চিঠিতে বিআইডব্লিউটিসি অথবা বিআইডব্লিউটিএ নিজ খরচে পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকার বাইরে ঘাট স্থানান্তর করতে পারে বলে জানানো হয়।

পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাছে ফেরি কোনও বিষয় নয়। এটি আমরা আগেও বলেছি। কাজেই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য তারা যদি ঘাট স্থানান্তরের কথা বলে, তবে সেটা সেতুর প্রকল্পের বাইরের যেকোনও স্থানে করতে পারে। তবে পদ্মা সেতু এলাকায় নতুন করে কোনও ঘাট করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আমরা বিআইডব্লিউটিসির যে চিঠি পেয়েছিলাম তার উত্তর দিয়ে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আরও সেতু আছে। সেসব সেতুর নিচ দিয়েও অনেক বড় বড় জলযান চলাচল করে। আর পদ্মা সেতুর প্রত্যেক পিলারের মধ্যেও যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা রাখা আছে যান চলাচলের জন্য। তবে সরকার যদি মনে করে, পদ্মা সেতুর নদীশাসনের কাজ পরে করবে। আগে সেখানে ঘাট স্থানান্তর করবে। তাহলে সেটা করতে পারে।’

আরও খবর: ফেরিঘাট সরানো পদ্মা সেতুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ: প্রকৌশলী