বিশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরপুর ‍উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইমরান হোসেন সদরপুর উপজেলার চর চাঁদপুর গ্রামের মীর আব্দুল জলিলের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে ছিলেন তিনি। বুধবার (১১ আগস্ট) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে আট জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে আট জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, রাশেদুজ্জামান, এমদাদুল হক, কাইয়ুম মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার ও নূরে আলম।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, মনিরুল হক, তারিক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম (২), কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন আসামিরা। এসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে নিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫
জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চার জনকে খালাস দেওয়া হয়। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদার। এছাড়া খালাসপ্রাপ্ত চার জন হলেন—সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, এ এইচ এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা।