ভূমি অধিগ্রহণ স্বচ্ছ করতে ড্রোন ভিডিও

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা রোডে চলমান ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমকে শতভাগ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে উচ্চ রেজুলেশনের ক‍্যামেরাযুক্ত ড্রোনের সাহায্যে প্রকল্প এলাকার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দিনব্যাপী ড্রোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণের এ কার্যক্রম চালানো হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর পাড় থেকে শরীয়তপুর সদর পর্যন্ত রাস্তা চার লেনে উন্নীত করার কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে একটি মহল অসৎভাবে লাভবান হতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণবিজ্ঞপ্তির পরও অধিগ্রহণাধীন এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে। যারা গণবিজ্ঞপ্তির পর স্থাপনা উত্তোলন করেছে এসব অসাধু লোকগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে।

অপরদিকে, যেসব দালাল চক্র, কিংবা অসাধু কর্মচারী আর্থিক লেনদেনের মাস্টারপ্লান করেছে বলে অভিযোগ ছিল তাদের পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে এ প্রযুক্তির ব্যবহারে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয়, সেটি যেমন নিশ্চিত হবে একইসঙ্গে সরকারি অর্থের অপচয়ও রোধ হবে। বাংলাদেশে এই প্রথম ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ড্রোন ব‍্যবহার করার মাধ‍্যমে দুর্নীতি বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হলো।

প্রকল্প এলাকায় উচ্চ রেজুলেশনের ক‍্যামেরাযুক্ত ড্রোনের সাহায্যে প্রকল্প এলাকার ভিডিও ধারণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসমাউল হুসনা লিজা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আছাদুল হক, জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার খান সালমান হাবীব, সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুর রহমান।

ভূমি অধিগ্রহণ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের প্রতিটি ধাপকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করার অংশ হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে করে জমির প্রকৃত মালিক তার প্রাপ্য বুঝে পাবে, অবৈধ সুযোগ গ্রহণকারীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং সরকারের অর্থের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত হবে।’