পদ্মাপাড়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু কবে, জানালেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

পদ্মাপাড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের কার্যক্রম চলতি অর্থবছরেই শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।

তিনি বলেছেন, ‘মানিকগঞ্জের পদ্মাপাড়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় আছে। আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করতে অনেক ধরনের সমীক্ষা চালাতে হয়, সেটি করা হবে। এ জন্য হয়তো ৩-৬ মাস সময় লাগতে পারে। যেহেতু এটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে, সেজন্য আমরা চলতি অর্থবছরের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর চেষ্টা থাকবে।’

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সশরীরে স্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যা যা করা দরকার সেটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করা হবে।’

স্টেডিয়ামের জায়গা নির্ধারণের জন্য আসা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ‘ইতোমধ্যে সংসদীয় কমিটির একাধিক সভায় গুরুত্বসহকারে পাটুরিয়ার পদ্মাপাড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়নের আলোচনা হয়েছে। পদ্মাপাড়ের এই স্থানটি দেখে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের পছন্দ হয়েছে। স্থানটিতে স্টেডিয়াম নির্মাণের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।’

স্টেডিয়ামের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সংসদ সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে একদিনের ক্রিকেট সিরিজ হারানোর পর বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘পদ্মাপাড়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।’ সেই ঘোষণার পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের কাছে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ১২ আগস্ট চীনের প্রকৌশলীদের একটি টিম পাটুরিয়া ঘাট পরিদর্শন করে। এরপর ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিমের নেতৃত্বে আরেকটি টিম পদ্মাপাড়ের এই স্থানটি পরিদর্শন করে।