জাতীয় স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের অনৈতিক ঘটনার প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নূর হোসেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি গ্রহণের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান জেলা আনসার কমান্ডার আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘মোহর আলী, ওমর ফারুক, রমজান আলী ও যুগল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তাদেরকে আনসার বাহিনী থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার নেবে আনসার।’
এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করা, দোষীদের স্থায়ী বহিষ্কার করা এবং গ্রেফতার করা, স্মৃতিসৌধে চলমান অনৈতিক কাজ বন্ধ করা।
এদিকে মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান। পরে তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন এবং অবরোধ স্থগিত করা হয়। এসময় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি শুনেছি, দোষী আনসারদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা আহত শিক্ষার্থীর সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছি। এ ঘটনায়ে থানায় অভিযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ আইনি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।