৩১ বছরের পুরোনো শতাধিক গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

ঢাকার ধামরাইয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সড়কের পাশ থেকে ১৩২টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় এই মামলা করেন।

অভিযুক্তরা হলেন—বেসরকারি এনজিও সংস্থার (সজাগ) পরিচালক আব্দুল মতিন (৬২), ম্যানেজার মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ (৫০), গাছ ক্রেতা মো. হানিফ আলী বেপারী (৩০) ও সাধু বেপারী (৬০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই শনিবার সোমভাগ ইউনিয়নের চাপিল এলাকা থেকে নওগাঁও পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের ১০৭টি গাছ এবং কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকা থেকে পথহারা এক কিলোমিটার রাস্তার ২৫টি গাছসহ মোট ১৩২টি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পরে সেই গাছ বিক্রি করে দেয় স্থানীয় সজাগ নামের একটি এনজিও। খবর পেয়ে বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঁধা দিয়েও গাছ কাটা বন্ধ করতে পারেনি। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অতিরিক্ত জনবল নিয়ে সেখান থেকে গাছ কাটার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

বন কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, ১৯৯০ সালে  ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) আওতায় সড়কের পাশে গাছ লাগানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে সজাগ এনজিওর সঙ্গে তাদের কোনও চুক্তি হয়নি। হঠাৎ করেই কোনও অনুমতি না নিয়ে ওই এনজিও তাদের সড়কের ১৩২টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছে, যেগুলোর বাজারমূল্য প্রায় নয় লাখ ১০ হাজার টাকা। 

এ বিষয়ে কথা বলতে সজাগের পরিচালক আব্দুল মতিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।