ধর্ষণ-হত্যার ১১ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এনজিওকর্মী শিউলি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি রিপন মোল্লাকে (৩৮) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সময়ে এ মামলার বাকি আট আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে আসামি রিপন মোল্লা উপস্থিত ছিল।

ট্র্যাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাড. স্বপন পাল জানান, ২০০৯ সালের ১২ জুলাই বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর গ্রামে আব্দুর বারিক মোল্লার মেয়ে শিউলি আক্তার স্থানীয় একটি এনজিও অফিসে কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রিপন মোল্লাসহ অন্যরা তাকে ধর্ষণ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুর বারিক মোল্লা বাদী হয়ে ১৩ জুলাই বোয়ালমারী থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বিচারক রিপন মোল্লাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।

তিনি আরও জানান, মামলায় অন্য আট আসামির সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সাইদ মাতুব্বর, ফজর খা, বক্কার মোল্লা, রাফিক মোল্লা, মিকু মাতুব্বর, রঞ্জু সরদার, বিপুল সরদার ও ওবায়দুর মোল্লা।