‘অচিরেই বিশ্ববাসী জানতে পারবে মন্দিরে হামলার মদতদাতা কারা’

দেশ যখনই এগিয়ে যায় তখন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য বিশেষ একটি শ্রেণি নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেছেন, ‘যারা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি এবং প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই অপশক্তি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশকে পাকিস্তানের মতো অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কুমিল্লায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কিছু লোক ধরা পড়েছে। আশা করছি, অচিরেই হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের কাছ থেকেই জাতি ও বিশ্ববাসী জানতে পারবে, বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় তাদের মদতদাতা ও আশ্রয়দাতা কারা। প্রকৃত দোষীরা অচিরেই চিহ্নিত হবে।’

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে গাজীপুর শহরের সার্কিট হাউজ ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশে গাজীপুর কালেক্টরেট হাই স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী জামিল আহমেদ, মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন সরদার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জন কুমার সরকার প্রমুখ।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘যেখানে যত বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে সেখানকার মানুষ তত বেশি উপকৃত হবে। গাজীপুরে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আসন সীমিত থাকায় অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। আশা করছি, গাজীপুর কালেক্টরেট হাই স্কুলটি জেলা প্রশাসকের তদারকিতে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল সম্পর্কে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ হাসপাতালে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চিকিৎসক-নার্স-টেকনেশিয়ানসহ জনবল ও অবকাঠামোর সংকট আছে। যে পরিমাণ জনবল দরকার তার তিন ভাগের একভাগ জনবলও এখানে নেই। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে অচিরেই জনগণ একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেবা পাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংকট দূর করতে সহযোগিতা করবো।’ পরে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর সার্কিট হাউজের তৃতীয় তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন।