সড়কে চরম ভোগান্তি যাত্রীদের

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো যাত্রীবাহী পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। এজন্য যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা সিএসজি অটোরিকশা, টেম্পো ও লেগুনায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুনে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

শনিবার সকাল ৭টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড মোড়ে দেখা যায়, শত শত মানুষ যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান স্বাভাবিক চলাচল করলেও যাত্রীবাহী বাস নেই। দীর্ঘ সময় পর একটি-দুটি বাস আসলেও সাইনবোর্ড মোড়ে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পরিবহন শ্রমিকরা তাদের যাত্রী তুলতে না দিয়ে দ্রুত চলে যেতে বাধ্য করছেন। ভাড়া বেশি নেওয়া হলেও সিএনজি অটোরিকশা বা লেগুনা আসলেই যাত্রীরা প্রায় যুদ্ধ করে তাতে উঠে পড়ছিলেন। একটি মিনি ট্রাকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঢাকায় যেতে দেখা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় শতাধিক বাস চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া ও ১নং রেলগেট বাস স্ট্যান্ডে দেখা যায়, ধর্মঘটের কারণে প্রতিটি বাস কাউন্টার বন্ধ থাকার পরও যাত্রীর ভিড় ছিল। ধর্মঘট শেষ হয়ে যাবে,এ প্রত্যাশায় বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। আবার কেউ কেউ না জেনে এসেছেন। এখানেও সিএনজি অটোরিকশা বা লেগুনা আসলেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। হুড়োহুড়ি করে এসব যানবাহনে চড়ে বসছেন।

নগরী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক নাসিম, আসমা দম্পত্তি। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কোনও যানবাহনে উঠতে পারছেন না। কারণ প্রতিটি ছোট যানবাহনের চালকরা যে ভাড়া চাচ্ছেন তা দিয়ে তাদের ঢাকায় যাওয়া সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচল করা উৎসব পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজল হোসেন বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ানোর আগেই বাসভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত ছিল। এত বেশি দামে তেল কিনে আগের ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়। সরকারের উচিত দ্রুত গণপরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া। তা না হলে যাত্রীদের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া লেগেই থাকবে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘট পালন করছি।’ তিনি ডিজেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করার দাবি জানান।