হামলার ৩ ঘণ্টা পর টাঙ্গাইল ছেড়েছেন রেজা কিবরিয়া-নুর

টাঙ্গাইলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। হামলার পর নুরকে কাগমারি পুলিশ ফাঁড়িতে ও রেজা কিবরিয়াকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা পর পুলিশের নিরাপত্তায় টাঙ্গাইল ছেড়েছেন তারা।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে সফরসঙ্গী ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তারা টাঙ্গাইল ছাড়েন। এদিকে, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কাগমারি ফাঁড়িতে নুরুল হক নুরের সঙ্গে দেখা করে তাকে নিয়ে বের হন। এরপর সদর থানা থেকে ড. রেজা কিবরিয়াকে নিয়ে একত্রে ঢাকার দিকে রওনা হন।

এদিকে, হামলার পর মাজার ও মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার সহযোদ্ধারা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে মাজারের পাশে থাকা একটি পুলিশভ্যানে তোলেন। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সামনেই পুনরায় হামলা করে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আমাদের সেখান থেকে টাঙ্গাইলের কাগমারি পুলিশ ফাঁড়িতে হেফাজতে নেয়। আর ড. রেজা কিবরিয়াকে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় আমাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল বলেন, ‘ড. রেজা ও নুর সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রলীগের চার সদস্য আহত হয়েছে।’

টাঙ্গাইলের অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মাজারের কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও ভিপি নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তারা চলে গেছেন।’