বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খোকনসহ ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনসহ ৭২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনকে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নরসিংদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

এর আগে, সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকালে চিনিশপুর এলাকায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা করতে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ করে। বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ করেন খায়রুল কবির খোকন।

অবরুদ্ধ রাখার অস্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, তারা নিজেরাই নিজেদের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। সমাবেশ এলাকায় নাশকতা করা হতে পারে বলে পুলিশের কাছে আগে থেকে খবর ছিল। সে সময় দলীয় কার্যালয়ে আসতে থাকা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ইটের আঘাতে আবু সাঈদ ও সবুজ মিয়া নামে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাই সার্বিক নিরাপত্তার জন্যে অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে মোতায়েন ছিল। 

তিনি জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) নরসিংদী সদর মডেল থানায় খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপির ৭২ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

খায়রুল কবির খোকন মোবাইল ফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বিএনপির আন্দোলনকে দমাতে এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সেদিন আমরা দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা করতে দেওয়ার দাবিতে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। আজকে খবর পেলাম, মামলা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকারের ভিত নড়বড়ে হয়ে গেছে। তাই তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ভয়ে তারা আজ ভীত হয়ে বিভিন্ন মামলা ও হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলা-মামলাকে তারা ভয় পান না।