কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

গাজীপুরের তারগাছ (মেম্বারবাড়ি) এলাকায় স্ত্রী জুয়েনা আক্তারকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে। জুয়েনা সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার সুরিগাঁও গ্রামের রাকিব আলীর মেয়ে। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  

ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সুজন পেশায় রডমিস্ত্রি এবং জুয়েনা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় হেলপার (সহকারী অপারেটর) পদে চাকরি করতেন। প্রায় তিন বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জীবিকার তাগিদে তারা গাজীপুর মহানগরের তারগাছ এলাকায় চলে আসেন। ময়মনসিংহের বাসিন্দা সুজন পেশায় রডমিস্ত্রি হওয়ায় কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই তাকে ঘরের বাইরে রাত্রী যাপন করতে হতো। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া ও মনোমালিন্য চলে। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে সুজন স্ত্রী জুয়েনাকে ডেকে ভাড়া বাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজনের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রী জুয়েনাকে জবাই করে। পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুনে ছাদে গিয়ে জুয়েনাকে জবাই করা অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সুজন ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা জুয়েনাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

জুয়েনার বাবা রাকিব আলী দাবি করেন, ‘সুজন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করতো। শুক্রবারও সে নেশাগ্রস্ত হয়ে বাসায় আসে। পরে ঘর থেকে মেয়েকে ছাদে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।