ইসি গঠনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ। রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন দলের নেতাদের ডেকে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলছেন। অথচ নির্বাচন কমিশন কাজই করতে পারে না। এখন আর কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ৪০০-এর বেশি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। তারা (আওয়ামী লীগ) ভয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে চায় না।’

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ কোথাও নিরাপদ নয়। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ ধ্বংস হতে থাকবে। তাদের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় সদস্যের নামে আমেরিকা সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমেরিকায় তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধসহ আরও নানা বিষয়ে বাধা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার চার হাজার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছে। গাজীপুরে ক্রসফায়ার, গুম হয়েছে। সারা দেশে ৫০০-এর বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সারা দেশেই এ অবস্থা। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিচ্ছে। কয়েক দিন আগে পত্রিকায় বেরিয়েছে, ৪২ লাখ কোটি টাকা এই কয়েক বছরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। কানাডায় বেগমপাড়া, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি হয়েছে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না। ব্যক্তির নিরাপত্তা নয়, জনগণের নিরাপত্তার জন্য আপনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার পরও ১৫ বছর পর বিএনপি গাজীপুরে সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছে।’

গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন সরকার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান, হাসান উদ্দিন সরকার, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির খান, ডা. মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।