নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

‘বহু মৃত্যু দেখেছি, নির্বাচন নিয়ে আর মৃত্যু দেখতে চাই না’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমি নিজে এই নির্বাচন মনিটরিং করবো। এখানের ভোটারদের মধ্যে যেন ক্ষোভের সৃষ্টি না হয়। সবার সহযোগিতা দরকার। জীবনে আমি বহু মৃত্যু দেখেছি, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আর মৃত্যু দেখতে চাই না। আপনারা মনে করবেন না আমরা উদাসীন।

রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা অভিযোগ করেছেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। অর্থাৎ কেউ অবৈধভাবে ১০টা মাইক ব্যবহার করছেন। আপনি করতেছেন নিয়ম অনুযায়ী ২টা। আবার কেউ কেউ নির্ধারিত সময়ের বেশি প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে আপনি মনে করতেছেন আমার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট যারা আছেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা দয়া করে যার-ই বেশি মাইক থাকুক না কেন নির্ধারিত সময়ের আগে প্রচারণা শুরু করলে সেটা জব্দ করবেন, জরিমানা করবেন কিংবা দরকার হলে জেলহাজতে পাঠাবেন। এর বাইরে যদি কিছু হয় তাহলে আপনাদের আমি ছাড় দেবো না।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে কিছু কাগজ দিয়েছিলাম। সেই কাগজে আপনারা অভিযোগ তুলে ধরেছেন। সবার অভিযোগ আমরা আমলে নিয়েছি, ব্যবস্থা নেবো। আপনাদের কাছে অনুরোধ, ভোটারদের বলবেন ভোটকেন্দ্রে যেতে। এরপরও যদি যেতে না পারে তাহলে তো পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাব আছে। তাদেরকে জানাবেন, তারা ব্যবস্থা নেবে।’ 

তিনি বলেন, ‘ইভিএমে একজন প্রার্থী বলেছেন একটি ভোট পেয়েছেন। একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার সুযোগ আছে। ইভিএমে কেউ যদি একটা ভোট দিয়ে থাকে তাহলে দুইটা দেখানোর উপায় নেই। একটা ভোটকে দুইটা করে দেওয়ার সাধ্য কারও নেই। কারণ কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট কারও সঙ্গে মিলে না। আপনারা ভোট দিতে আসেন। আপনাদের ভোট আপনারা দেবেন। অন্য কারও দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমার অনুরোধ আপনারা এক্সপার্ট নিয়ে আসেন এবং আমাকে দেখান। প্রমাণ হলে আমি ইভিএমে ভোট করবো না। ভোট কারচুপির আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।’