‘শামীম ওসমানের সঙ্গে নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা আছে, দ্বন্দ্ব নেই’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা প্রতিদিনই বাড়ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা ছুটছেন ভোটারদের কাছে। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচনি প্রচারণার সময় এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে, তবে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তিনি এবং তার লোকজন সবাই নৌকার পক্ষেই কাজ করছেন। আর তৃণমূল কর্মীরা সবসময়ই আমার সঙ্গে আছেন।’

সকাল থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি করপোরেশনের (১০ নম্বর ওয়ার্ড) বার্মাস্ট্যান্ড, পাঠানটুলি, এসিআই পানিরকলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ এবং পথসভা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও তার প্রচারণায় অংশ নেন।

আইভী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতি করি। সাধারণ ভোটাররা উন্নয়নের রাজনীতির সঙ্গে আছে। তাই ভোটাররাই আমার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা করছেন।’

গণসংযোগে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার অপরদিকে, তৈমুর আলম খন্দকার সিটি করপোরেশনের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলী, ভান্ডারীরপুর, নয়াপাড়, পশ্চিমপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র ও জনগণের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী দলসহ সবার ভোট চাই। আশা করছি সবার ভোট পাবো।’

দলের পদ-পদবি হারানোর পর বিএনপির নেতাকর্মীরা আপনার সঙ্গে আছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন,  ‘বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীরা মনে করেন, আমি তাদের আশ্রয়স্থল। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়েছি, পুলিশের মার খেয়েছি– তারপরও জনগণের পক্ষে কথা বলেছি। জনগণকে ছেড়ে যাইনি। তাই আগামী নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে ভোটাররা আমাকে হাতি প্রতীকে ভোট দেবেন। ভয় কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর– আমি এই নীতি নিয়ে মাঠে আছি। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের নির্বাচনে দল আমাকে পাঁচ ঘণ্টা আগে বসিয়ে দিয়েছে। সে সময় শ্রমিক দলের একটি জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, শামীম ওসমানকে ফেল করানোর জন্যই বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলমকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আসলে মানুষের মন কখন কোথায় যায়, এটা আল্লাহ ভালো জানেন। তবে আমার সঙ্গে শামীম ওসমানের কোনও কথা হয়নি।’

এদিকে প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। দিন-রাত প্রচারণা চালিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।