ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি: ভেসে উঠলো আরও ২ লাশ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট ছয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সকালে বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকায় মা-মেয়সহ চার জনের লাশ ভেসে ওঠে। তারা হলেন—নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চর মধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০), তার মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৬), কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন ও জোসনা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জন নিখোঁজ রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার পঞ্চম দিনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মোট ছয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন: ট্রলারডুবির পঞ্চম দিনে ধলেশ্বরী থেকে ৪ লাশ উদ্ধার 

বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোরশেদ মো. জিয়াউল আলম জানান, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নদীতে ছয়টি লাশ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। চার জনের পরিচয় শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুটি লাশ নদীর তীরে রাখা আছে। শনাক্ত হলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর নাহার ইয়াসমিনের আদালত এই আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি: লঞ্চের চালকসহ ৩ আসামি কারাগারে

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে বক্তাবলী ঘাট থেকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঘাটমুখী ট্রলারটি ঢাকামুখী যাত্রীবাহী এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। সে সময় ৩০-৪০ যাত্রী সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও প্রায় ১০ জন নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর ছয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।