ইভিএমকে স্বাগত জানালেন আইভী, জালিয়াতি হলে আন্দোলনের হুঙ্কার তৈমুরের

রাত পোহালেই আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার আগেই ১৯২টি কেন্দ্রেই পৌঁছে গেছে ভোটগ্রহণের মেশিন ইভিএম।

নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার মাঠে আলোচনার জন্ম দেওয়া মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইভিএম নিয়ে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আইভী ইভিএমকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে জাল জালিয়াতি করা হলে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর।

ইভিএমকে স্বাগত জানিয়ে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘২০১১ সালে ৫৮ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ২০১৬ সালে সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ইভিএমে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। ইভিএম হচ্ছে একটি সহজ পদ্ধতি। ২০১১ ও ২০১৬ সালে ইভিএমে ভোট ২০২২ সালে কেন নয়?’

তবে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কোনও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিলে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সরকার আমাদের প্রথম থেকেই আশ্বস্ত করে আসছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমার সেই আশ্বাসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

ইভিএম মেশিনকে মেনে নিয়েই কি নির্বাচন করছেন- জবাবে এ প্রার্থী বলেন, ‘ইভিএম মেশিন মেনেছি বা মানবো-না সেটি বোঝা যাবে নির্বাচনের পর।’

এদিকে, ইভিএম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ভোটারদের মাঝেও। তবে বেশিরভাগ ভোটারই এ যন্ত্রকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে আবার এ মেশিনে কীভাবে ভোট দেওয়া হয়- এর প্রচারণা আরও বেশি চালানো দরকার ছিল বলে দাবি করেন।

নারী উদ্যোক্তা শাহতাজ মুনমুন বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দেওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। এখানে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, খেটে খাওয়া মানুষ, বয়োবৃদ্ধ পুরুষ ও নারী ভোটার রয়েছেন। তারা ভোট দিতে যাবে। এই পদ্ধতিটি যেহেতু মানুষের কাছে নতুন তাই প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের যদি সঠিকভাবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট লোকজন গাইড দেয় তবেই সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবে।’

ভোটার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইভিএমে কখনও ভোট দিইনি। কীভাবে ভোট দিতে হয় তাও জানি না। ভোট দেওয়ার আগে পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে জেনে কেন্দ্রে যাবো।’

গৃহিণী ফাহমিদা আহমেদ জানান, জিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু সবাই যেন এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের বুঝিয়ে দিতে হবে।