দোকানে ক্রেতা আসে না, আসে না বয়স্কভাতাও

বয়স ৮০ পার হয়েছে। তবু সকাল-সন্ধ্যা চা বানিয়ে চলেছেন লোকমান শেখ। একটি পুরনো রেইনট্রি গাছের নিচে টং ঘর বানিয়ে কোনোমতে চালাচ্ছেন দোকান। উপার্জনের সঙ্গে মেয়েদের কিছু সহযোগিতায় স্ত্রী নবিরনকে নিয়ে পার করছেন প্রতিটি দিন।

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগাট গ্রামে তাদের বাস। স্ত্রী নবিরনও সত্তর পেরিয়ে। দীর্ঘ ৫০ বছরের দাম্পত্য জীবনে সাতটি মেয়ে। সবারই বিয়ে হয়েছে।

মেয়েদের সংসারও চলছে কায়ক্লেশে। আগে বাগাট বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন লোকমান শেখ। সেখানে বেচাকেনা না হওয়ায় দোকান ভাড়া বাকি পড়ে যায়। সেটা ছেড়ে বাজারের একটি গাছের নিচে টং দোকান করেন।

লোকমান শেখ জানান, এই টং দোকানেও তেমন লোকজন আসে না। অল্প আয়ের কিছু লোকজন আসে। তাদের কাছে চা বিক্রি করে যা পান তা দিয়ে কোনোমতে খেয়ে-পরে আছেন দুজন।

লোকমান বলেন, মেয়ের স্বামীরা তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করছেন। তবে স্ত্রী এখন অসুস্থ। জমানো যা ছিল তা চিকিৎসাতেই ব্যয় হয়েছে। সম্পদ বলতে মোটে তিন শতাংশ জমি।

বয়সের ভারে নুয়ে পড়া লোকমান শেখ ও নবিরন দম্পতি পাচ্ছেন না বয়স্কভাতা। এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, এ দম্পতির বয়স্কভাতার ব্যবস্থা দ্রুত করার উদ্যোগ নেবো। যদি তাদের থাকার ঘর না থাকে তবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা দেয়া হবে। তাদের চিকিৎসা সহায়তাও দেওয়া হবে।