টাঙ্গাইল-৭ উপনির্বাচনে জামানত হারালেন তিন প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিন জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট কম পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন তারা।

এক লাখ চার হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে এই আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৭৩ ভোট।

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন—জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র) নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি) ২৪৩৬ ভোট, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার (হাতুড়ি) ১০৪৫ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মনোনীত প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরী ডাব প্রতীকে ৪৩৮ ভোট পেয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, রবিবার (১৬ জানুয়ারি) এই আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় তিন লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ ভোটার ভোট দেন। ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের এর কম পেলে প্রার্থী জামানত হারান। সেই হিসাবে তিন জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে কেন্দ্র এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে ভোট গ্রহণের শেষ সময়ে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার ভোট বর্জন করেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীও ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর এ আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা যান। এরপর ৩০ নভেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।