‘কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখেছেন, এখানে মানার কী আছে’

শরীয়তপুর মাঝিরঘাট-মাওয়াঘাটের লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। লঞ্চসহ সব নৌযানেই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। নেই প্রশাসনের নজরদারি। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে মাঝিরঘাট-মাওয়াঘাট এলাকায় দেখা যায়, ওই রুটে চলাচলকারী প্রতিটি লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। যাত্রীদের মুখে মাস্ক নেই। থাকলেও তা থুঁতনির ওপরে। ঘাটে এ সময় প্রশাসনের কোনও লোকজনের উপস্থিতি দেখা যায়নি। 

shariatpur2

নরসিংদী থেকে আসা যাত্রী সানাউল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘আমি স্ত্রীসহ লঞ্চে উঠেছি। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নেমে যেতে চেয়েছি, কিন্তু নামতে দেওয়া হয়নি।’ 

মেসার্স সাত্তার আর নেভিগেশনের টিকিট বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘কোথাও কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখেছেন? এখানে মানার কী আছে? কোথাও স্বাস্থ্যবিধি নেই।’

লঞ্চ ডালিম-২-এর এক কর্মচারী বলেন, ‘এখানে বিআইডব্লিউটিএ-র ম্যানেজার আছেন, তার সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রী মাস্ক না পরলে আমরা কী করবো?’

shariatpur3

মাঝিরঘাটের বিআইডব্লিউটিএ সুপারভাইজার মো. মোখলেছ মাদবর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ করি। মাস্ক ছাড়া কাউকে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হয় না। এরপরও কিছু লোক উঠে যায়।’

মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী বহন আর স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি আমরা ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’

বিআইডব্লিউটিএ ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল ইনাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ আমি অসুস্থ থাকায় ঘাটে যেতে পারিনি। মালিকদের আন্তরিকতার অভাবে লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এটা আমি আমার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’