২০২৩ সালেও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই: আইভী

২০২৩ সালে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে যে কাজ করছে তা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি মহল এসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কীভাবে এই সরকারকে ছোট করা যায়, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।

মেয়র আইভী বলেন, ‘২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। যতই ষড়যন্ত্র হোক, এটিকে ছিন্ন করে আমরা উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো। এর জন্য বর্তমান সরকারকে আবারও প্রয়োজন। এটার জন্য আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন, সরকারের ভালো কাজগুলো তুলে ধরবো।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। ২০১১ সালে কঠিন মুহূর্তে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। আমি এ কথা কোনও দিন ভুলবো না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে রাখবো। আপনাদের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা আমার ভেতরে লালিত হবে। ২০১৬ সালেও তা-ই করেছিলেন। ২০২২ সালেও আমি প্রথম প্রচারণা করেছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। আপনাদের সঙ্গে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে, হৃদয়ের বন্ধন আছে।’

সিটি মেয়র বলেন, ‘এই সরকার স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি। এই সরকার আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমন কোনও সেক্টর নেই যেখানে কম-বেশি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নারীর ক্ষমতা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ প্রচুর কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রচারটা একটু কম বলে অনেক সময় বলি সরকার কী করছে? সরকার বহু কিছু করেছে। সেগুলো তুলে ধরতে হবে।’

নগরীতে ছিনতাই বেড়েছে জানিয়ে জেলা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান সেলিনা হায়াৎ আইভী। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এমন আয়োজন করায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন রাস্তা যেন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই আজকে আমরা এ দেশে মন্ত্রী-এমপি ও মেয়র নির্বাচিত হতে পেরেছি।’ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সব জায়গায় সম্মান দেওয়ার অনুরোধ জানান।

এই সময় জেলার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননাস্বরূপ প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।

আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা। উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত প্রমুখ।