টিকাদান কার্যক্রমে নারায়ণগঞ্জ কিছুটা পিছিয়ে: সেব্রিনা ফ্লোরা

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, করোনার টিকাদান কার্যক্রমে অন্যান্য জেলার তুলনায় নারায়ণগঞ্জ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সিভিল সার্জন ও অন্যান্য উপজেলা পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। দুই দিন ধরে এখানে টিকা কার্যক্রম জোরদার হয়েছে।

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
 
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, কোথায় কোথায় এখনও টিকা পৌঁছায়নি, সেসব জায়গা খুঁজে বের করা হবে। কোনও জেনারেল পরিকল্পনা না হলে যেখানে যা প্রয়োজন সেরকমভাবে পরিকল্পনা করে কাজ করা হয়। যে ধরনের জনসংখ্যায় যে রকম পরিকল্পনা হলে সুবিধা, সেই ভাবে কাজ করতে বলেছি।

শোনা যাচ্ছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির পর টিকার প্রথম ডোজ আর দেওয়া হবে না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম ডোজ আমাদের টার্গেট। কেউ বাকি না থাকলে অবশ্যই ২৬ তারিখের পর আর প্রয়োজন হবে না। যদি কেউ বাদ থাকে তাহলে বিবেচনা করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, অনেক দিন ধরে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গণপ্রচারণা চলছে। ক্যাম্পেইনটা জোরদারে নারায়ণগঞ্জের পরিকল্পনাটা দেখা, সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মেয়রের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করেছি। কোন জায়গাগুলো চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছরের যত শিশু আছে, যারা মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজে পড়ে তাদেরকে টিকার আওতায় আনার জন্য বলেছি। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। বাচ্চাদের যে ফাইজার টিকা দেওয়া হয়, সেটা সব জায়গায় দেওয়া যায় না। সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। তবে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হচ্ছে। এখন স্কুলের বাচ্চাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে টিকা দিতে পারবো। অন্যান্য জায়গায় মাদ্রাসায় টিকা দেওয়া হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জেও দেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) আবুল আমিন, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সুপার আবুল বাশার, নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন মশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা আলী, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ডা. ফারহানা প্রমুখ।