তালাবদ্ধ ঘরে পোশাকশ্রমিকের লাশ, স্বামী গ্রেফতার

গাজীপুরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় নারী পোশাকশ্রমিক মমতাজ খাতুন ওরফে মিতার (৩৩) লাশ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে বাসন থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে (৪১) সোমবার (৭ মার্চ) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত মিতা রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার নথপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। গ্রেফতার রফিকুল নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মালেক খসরু খান জানান, পোশাক কারখানায় চাকরির সূত্রে রফিকুল ইসলাম ও মিতার পরিচয় এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে প্রায় দু বছর আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বনিবনা না হওয়ায় তারা আলাদা বসবাস করতেন। বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় ভোগড়া এলাকার ‘জিম অ্যান্ড জেসি’ নামে পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি ইনচার্জ হিসেবে চাকরি করতেন মিতা। রবিবার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশীদের সংবাদের ভিত্তিতে ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মিতার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, পুলিশ ক্লুলেস এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সোমবার নেত্রকোনা থেকে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী মিতাকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গলাটিপে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। হত্যার পর লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে দরজা তালাবদ্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় রফিকুল। রফিকুলকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ঘটনার প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস এ হত্যার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।