অন্যের এটিএম কার্ড নিজের নামে করে জালিয়াতি, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

ফরিদপুরে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে জালিয়াতি করে নেওয়া টাকার বড় একটি অংশ।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা।

এটিএম কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ওই দম্পতি হলেন- ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা বদরুল ইসলাম তাসিন (৩৫) এবং তার স্ত্রী মাহি আক্তার উর্মি (২৪)।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত লাল মিয়ার ছেলে কালাম ব্যাপারী (৫৬) সদরপুরের মণিকোঠা বাজারের ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের একজন গ্রাহক। কালাম ব্যাপারী তার হিসাব নম্বরের বিপরীতে এটিএম কার্ডের জন্য আবেদন করেন। এজেন্ট আউটলেটের সাবেক কর্মচারী বদরুল ইসলাম তাসিন এটিএম কার্ড সরবরাহের দায়িত্ব ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তবে গ্রাহক কালাম ব্যাপারীকে কার্ড সরবরাহ না করে তার স্বাক্ষর নকল করে এটিএম কার্ডটি নিজের কাছে রেখে দেন। পরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে বদরুল ফরিদপুর ট্রমা সেন্টারের ডিসকাউন্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশনের নাম করে কৌশলে কালাম ব্যাপারীর কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিজের মোবাইলের সফটওয়্যারে যুক্ত করে নেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ওটিপি নিয়ে এটিএম কার্ড অ্যাকটিভ করেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রেফতার দম্পতি ফরিদপুর শহরের হাই স্কুলের মার্কেট ও নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংকের দুইটি বুথ থেকে কালাম ব্যাপারী হিসাব থেকে এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেন। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী পুলিশ সুপারের কাছে সহযোগিতা চান। পরে পুলিশের একটি সাইবার দল তথ্য সংগ্রহ করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের দক্ষিণ আলীপুররের নিজ বাড়ি থেকে বদরুল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে এক লাখ চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মঙ্গলবার ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাহুল অনিক।

তিনি জানান, এ ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কোনও কর্মকর্তা জড়িত আছে বলে এখন পর্যন্ত এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।ওই দম্পতিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।