কেমিক্যাল কারখানায় আগুন: মালিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার লিলি কেমিক্যাল কারখানায় অগুন লাগার ঘটনায় মালিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রবিবার (৩ এপ্রিল) রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত শ্রমিক আকলুর ভাই আজিজার রহমান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

আসামিরা হলো—কারখানার মালিক এ কে এম সেলিম, ম্যানেজার আব্দুল বাতেন, ইলেকট্রিশিয়ান রফিকুল ইসলাম, কাস্টম সাবরুল ইসলাম, সুপার ভাইজার কাউসার হাবিব।

এর আগে ২৯ মার্চ উপজেলার গোলাকান্দাইল বেড়িবাঁধ এলাকায় রাত ১০টায় ওই কারখানায় লাগা আগুনে ৯ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট রাত ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ বলছে, আহতদের দুই জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ১ এপ্রিল দুপুরে আহত আকালু মিয়া (৩৫) এবং ২ এপ্রিল ভোরে মুজাহিদ মিয়া (২৩) নামের দুই শ্রমিক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহত শ্রমিক সজীব ও বায়েজীদ ২ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি আহতরা হলেন– রাসেল, খাদেমুল, রোকন, মেহেদী ও রিপন।

আজিজার রহমান মামলায় উল্লেখ করেন, ‘তার ভাই আকালু লিলি কেমিক্যাল কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৯ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে কারখানার পেস্টিং সলিউশন (জুতা তৈরির আঠা) মেশিনের সুইচ চাপ দেন এক শ্রমিক। এ সময় বিকট শব্দে মেশিনে আগুন ধরে যায়। পরে কারখানার ভেতরে দাহ্য পদার্থ জাতীয় কেমিক্যাল মজুত থাকায় খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আকালু অগ্নিদগ্ধ হন। কারখানার মালিক সেলিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে আগুন লেগেছে।’এ

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলায় দুই জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তবে চার জন মারা গেছেন কিনা তা বার্ন ইনস্টিটিউট বলতে পারবে। আমাদের কাছে এখনও সে বিষয়ে কোনও বার্তা আসেনি।