অধ্যক্ষের মেয়ের বিরুদ্ধে নালিশ দেওয়ায় ১০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত

সাভারে একটি মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ায় একই ক্লাসের ১০ শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার মাদ্রসায় গেলে তাদেরকেও আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।

শিশু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দাবি করেন, শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে সাভারের বিরুলিয়া রোডের তা’লীমুন নিসা নামক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোতালেব হোসেনের স্ত্রীর কাছে তাদের মেয়ের বিরুদ্ধে নালিশ দেয় কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে আমেনা নামের মাদ্রাসার এক শিক্ষক ১০ শিশু ছাত্রীকে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে বেত দিয়ে তাদেরকে বেদম পেটাতে থাকেন। এরপর অধ্যক্ষের স্ত্রী সালমা আহত শিক্ষার্থীদের পঞ্চম তলার অপর একটি কক্ষে নিয়ে আবারও পেটাতে থাকেন। এ সময় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও গুরুতর আহত হয় ৯ ছাত্রী।

এদিকে, সন্ধ্যার পর ওইসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসায় আসেন। পরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের বাগবিতণ্ডা হলে তাদেরকে মাদ্রাসার ভেতরে আটকে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

মনিরুজ্জামান নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘মাদ্রাসার অধ্যক্ষের মেয়ের কথা বলে দেওয়ায় তার স্ত্রী শিশু শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে পিটিয়ে আহত করেছেন। আমার মেয়েকেও পেটানো হয়।’ তিনি এই অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাদ্রসার অধ্যক্ষ মোতালেব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাভার মডেল থানার এসআই পাভেল মোল্লা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে অভিভাকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’