দৌলতদিয়ায় যাত্রীর চাপ থাকলেও ভোগান্তি নেই

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ও সড়কে ঈদযাত্রায় যানবাহন এবং মানুষের চাপ থাকলেও নেই কোনও ভোগান্তি। কিছু কিছু জায়গায় ধীরগতি থাকলেও ছিল না যানজট। রাজধানী ছেড়ে আসা ঘরমুখো মানুষ পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ভোগান্তি ছাড়াই গৌন্তব্যে যাচ্ছেন।

রাজবাড়ী জেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, কঠোরভাবে সড়কে যান চলাচল নজরদারি করা হচ্ছে। কোথাও সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রবিবার (১ মে) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের পুলিশ বক্স থেকে মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস অপেক্ষা করছে। এদিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা অধিকাংশ ফেরিতে ব্যক্তিগত যান, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ লঞ্চেই ছিল উপচে পড়া ভিড়।

গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে ফরিদপুরের মধুখালি যাচ্ছেন হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার শান্তিতে ঘাটে আসতে পেরেছি। তবে সড়কে থাকা যানবাহনগুলো একটু বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। কোথাও থেমে থাকতে হয়নি। গাবতলী থেকে সেলফি বাসে পাটুরিয়া পর্যন্ত এসে ফেরিতে পার হয়েছি। এখন দেখি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কোন গাড়িতে বাড়ি যেতে পারি।’

মাগুরাগামী লঞ্চের যাত্রী কাউসার মাহমুদ বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে এলাম। কোনও ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। তবে লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। তবে শিমুলিয়া ঘাটের চেয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে একদম কম ভিড় রয়েছে। বাকি পথটুকু শান্তিমতো গেলেই হয় ‘

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২০টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কাজ করছে। দৌলতদিয়া ঘাটে এখন পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। ঘাট পার হয়ে সবাই ভালোমতো বাড়ি যাচ্ছেন। আমরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব সময় কঠোর নজরদারি করছি।’