ফরিদপুরের ১৩ গ্রামে সোমবার ঈদ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে সোমবার (২ মে)।

বোয়ালমারীর শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা পালন শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ওই ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করেন।

এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ তিন গ্রামের মানুষ একইসঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের মুরিদান।

বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির সভাপতি মো. ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, রূপাপাত ও শেখর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামগুলোর কিছু মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রূপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরি সহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের কিছু এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ তিন গ্রামের আংশিক লোকজন একদিন আগে রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমান তিনটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ইতোমধ্যেই নামাজ যেখানে আদায় করা হবে সেখানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে।