১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট, হেঁটে পার হচ্ছেন যাত্রীরা

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। যানজটে আটকে থেকে তীব্র গরমে সবাইকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরজমিনে শনিবার (৭ মে) বিকালে ঘাট ও সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার মকবুলের দোকান পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। অনেক যাত্রী বাস ছেড়ে পায়ে হেঁটে, ভ্যান ও অটোরিকশায় ঘাটে যাচ্ছেন। কিছু যানবাহনের চালক দাবি করেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এলেও বিকাল ৩টা পর্যন্ত ফেরির নাগাল পাননি।

অন্যদিকে, যাত্রীদের নদী পারাপারে ২২টি লঞ্চ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচল করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মো. নুরুল আলম মিলন।

rajbari1

এদিকে, দৌলতদিয়া ঘাটে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। প্রতিটি ঘাটেই মানুষের ভিড়। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীবাহী শত শত পরিবহন যানজটে আটকে আছে।

জমিদার ব্রিজ এলাকায় আটকা পড়া যাত্রীবাহী বাস থেকে নেমে হাঁটছেন এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি পাংশা থেকে একটি লোকাল বাসে জমিদার ব্রিজ পর্যন্ত এসেছি। এতো যানবাহনের চাপ হয়েছে, সেটা আগে জানলে কাল ঢাকা যেতাম। সঙ্গে ব্যাগ নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছি। শুনলাম, ঘাট এখান থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। দেখি পায়ে হেঁটে কতদূর যেতে পারি।’

ঘাটে মানুষের চাপ

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন জানান, ‘বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ছোট-বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। কাল গার্মেন্টস ও অফিস খোলা থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ভোগান্তি কমাতে কাজ করছি।’