গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কিশোরীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাসায় দেড় মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে একটি কারখানার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের (৪০) বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী। কালিয়াকৈরের মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২৪ মে) গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (৪০) পাবনার সাথিয়া উপজেলার চকমধুপুর গ্রামের জনাব আলী সরকারের ছেলে এবং কালিয়াকৈরের সফিপুর এলাকার যমুনা স্পিনিং মিল কারখানায় কর্মরত। এ ঘটনায় কিশোরী সোমবার (২৩ মে) থানায় মামলা করলে রাতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হাসান-উদ দৌলা জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার আহমদ নগর এলাকায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতো সাইফুল ইসলাম। দুই মাস আগে সে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। প্রায় দেড় মাস আগে ওই কিশোরীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। পরে তাকে ধর্ষণ করে এবং এর ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। নির্যাতনের পর কিশোরী পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এভাবে দেড় মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, কিশোরী সোমবার দুপুরের দিকে ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা খোলা দেখতে পেয়ে দৌড়ে বাইরে চলে আসে। পরে আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আসামিকে গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।