গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ এবং বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ সময় তারা কারখানার পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার (২৫ মে) গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকার এনটিকেসি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। 

আন্দোলনরত শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, ‘কোনাবাড়ি এলাকার এনটিকেসি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করেই ২৮ এপ্রিল কারখানা বন্ধ করে দেয়। ঈদের পর এ পর্যন্ত কারখানাটি চালু এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এবং পাওনার জন্য প্রায় প্রতিদিন কারখানার গেটে আসেন। কিন্তু কাউকে না পেয়ে ফিরে যান। কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার আশ্বাস দিয়েও পাওনা পরিশোধ করেনি। 

সর্বশেষ বুধবার ছিল শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধের নির্ধারিত দিন। এদিন সকালে শ্রমিকরা বন্ধ কারখানার সামনে অবস্থান নেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মালিকপক্ষের কাউকে না পেয়ে তারা বিক্ষুব্ধ হন। পরে পাওনা পরিশোধ এবং কারখানা খোলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তারা আশপাশের কয়েকটি কারখানা ও গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সদস্যরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে অবরোধকারীদের মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ও তিন রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মহাসড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী ৫ জুন শ্রমিকদের পাওনা বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হবে।’