লাইফ সাপোর্টে শিক্ষার্থী, র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের 

ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার আবাসিক শিক্ষার্থী গোপাল রায় রাজেস (১৯) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। গত ২৩ মে রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজেসকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। রাজেস গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ি গ্রামের প্রণয় রায়ের ছেলে।

এদিকে আম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে রাজেস আহত হয়েছেন বলে জানানো হলেও র‌্যাগিংয়ের জেরে ছেলেকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ করেছেন তার বাবা প্রণয় রায়। 

পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার (২৬ মে) লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ঘটনার পরের দিন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।

রাজেসের বাবা প্রণয় রায় অভিযোগে বলেছেন, আমার ছেলে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ১১টায় কলেজ হোস্টেলে অবস্থানকালে মাথায়, হাত ও বুকে আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে সহপাঠীরা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। 

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রাজেসের মাথায়, হাতে, কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও হাতে কবজি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রাজেসকে পরিকল্পিতভাবে পেটানো না হলে, এমন গুরুতর আহত কোনোভাবেই হওয়া সম্ভব নয়।’

ফরিদপুর পলিটেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলী শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি ছেলেটি ক্যাম্পাসের একটি আম গাছ থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টির সঠিক তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছি। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।