সাত দিনেও খোঁজ মেলেনি আফসানার

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নিখোঁজের সাত দিনেও আফসানা আক্তার (৮) নামে এক শিশুর সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে রবিবার (২৯ মে) শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মা সেলিনা আক্তার। 

অভিযুক্ত আল-আমিন (৩৫) ময়মনসিংহের পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ভুক্তভোগীর মা সেলিনা আক্তার শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে।

সেলিনা আক্তার জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে আল-আমিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এর জেরে বছর খানেক আগে আল-আমিনকে তালাক দেন সেলিনা। পরে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি সাতখামাইর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন সেলিনা।

অভিযোগপত্রে সেলিনা উল্লেখ করেন, গত ২৬ মে বিকালে বাড়ির পাশে নানার দোকানে যাচ্ছিল আফসানা আক্তার। পথে আল-আমিন বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে নিয়ে যায়। বিষয়টি পরে জানতে পারেন সেলিনা। সব জায়গায় খোঁজখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে শ্রীপুর থানায় পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন।

সেলিনা বলেন, ‌‘পুলিশ স্যারের (এএসআই ইব্রাহিম খলিল) কাছে গিয়েছিলাম। স্যার আমাকে বলেছেন, মেয়ে কোথায় আছে তা জানাতে। আমি যদি জানতাম আমার মেয়েকে কোথায় নিয়ে রেখেছে, তাহলে কি পুলিশের কাছে যেতাম? আমি গরিব বলে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরও পুলিশ উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘শিশুটির মা গত ৩০ মে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাকে আল-আমিন বা তার কোনও স্বজনের মোবাইল ফোন নম্বর দিতে বলেছিলাম। উনি দিতে পারননি। কোনও সোর্সও নেই। আল-আমিন ও শিশুটিকে কীভাবে খুঁজে বের করবো?’