ধর্ষণের পর ভিডিও প্রকাশ, প্রাণ দিলেন তরুণী

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ধর্ষণের পর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করায় এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার চার দিন পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সোমবার (৬ জুন) উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনরা জানান, বালিয়াগাঁও এলাকার মৃত জামির খানের ছেলে নুরুল আমিন (৫০) ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর জেরে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এরমধ্যে কৌশলে ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ২২ মে সকাল পৌনে ১১টায় ধর্ষণের পর ভুক্তভোগী অভিযুক্তকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু নুরুল আমিন বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ২ জুন নুরুল আমিনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। বাদী জানান, থানায় মামলা করার জেরে নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও তার ভাগ্নে এবং স্থানীয় মসজিদের এক ইমাম রবিবার রাতে তার মেয়ের ভিডিও ভাইরাল করে। এতে লজ্জায় তার মেয়ে সোমবার সকাল ১০টায় ঘরের মধ্যে আত্মহত্যা করে।

ভুক্তভোগীর বোন জামাতা বলেন, ‘নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী কৌশলে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।’

বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে নুরুল আমিন, তার স্ত্রী শ্যামলী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে।’