কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, চাপ নেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেকে। তবে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ নেই। সড়ক ও ফেরিঘাট ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ঘাট এলাকায় কোনও যানবাহনের জট নেই। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাসসহ যেসব যানবাহন ঘাটে আসছে, সেগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠছে। 

যাত্রীরা বলছেন, ঈদ শেষে স্বজনদের রেখে কর্মস্থলে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘাট এলাকায় ভিড় না থাকায় স্বস্তির কথাও জানান তারা।

ফেরদৌস নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ কাটালাম। খুব ভালো লাগল। এখন তাদের রেখে আসতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে, না গেলে চাকরি থাকবে না।’

ঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনও সিরিয়াল নেই

শিমুল আহসান নামের অপর এক যাত্রী বলেন, ‘এবার বাড়ি ফেরার পথে ঘাটে কোনও ঝামেলা হয়নি। যদিও বাস কম থাকায় ভাড়া একটু বেশি লেগেছে। রাস্তাও ফাঁকা। সবমিলে ভালোভাবে আসতে পেরেছি।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘ঈদ শেষে আজ সকাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তবে ঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনও সিরিয়াল নেই। যেসব যানবাহন নদী পার হওয়ার জন্য আসছে, সেগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে।’ 

সরাসরি ফেরিতে উঠছে যানবাহন

তিনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ১১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বাকি ফেরিগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছে। যানবাহনের ও যাত্রীর চাপ বাড়লে সেগুলো চালাচল করবে।