পর্যটন এলাকা ঘোষণার পর উজানচরে ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের

ঈদ উপলক্ষে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মরা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত নতুন সেতু এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। ‘গোয়ালন্দের পদ্মা সেতু’ হিসেবে পরিচিত এই এলাকাকে গত ৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় বিশেষ কোনও বিনোদন স্পট না থাকলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই এলাকায় প্রতিনিয়ত ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় করেন। ঈদ বা অন্য যেকোনও বিশেষ সময়ে এই ভিড় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এখানে প্যাডেল নৌকা, ডিঙি নৌকা, দর্শনার্থীদের বসার জায়গা রয়েছে। তবে আগতদের জন্য তেমন কোনও সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সম্প্রতি জাইকার অর্থায়নে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সোলারের স্ট্রিট লাইটের মাধ্যমে আলোকায়ন, সুসজ্জিত করাসহ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এছাড়া টয়লেট-বাথরুম স্থাপন, যোগাযোগের রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা দরকার।

Chor-2

এই পর্যটন এলাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মিঠু শেখ বলেন, ‘সারা বছর কাজের ব্যস্ততার মধ্যে থাকি। ছুটিতে বাড়িতে এলে একটু প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নতুন ব্রিজে ছুটে আসি। পর্যটন এলাকা ঘোষণা করার পর এবার বিগত বছরগুলোর তুলনায় প্রচুর ভিড়। কোথাও একটু স্বস্তিতে বসা-দাঁড়ানো বা কিছু খাওয়ার উপায় নেই। নেই টয়লেট-বাথরুমের ব্যবস্থা। এ বিষয়গুলো প্রশাসনকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

স্কুলশিক্ষক মুহাম্মদ বাবর আলী বলেন, ‘অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের মতো বিনোদনও মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। কিন্তু গোয়ালন্দে সেই অর্থে আজও কোনও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। নতুন ব্রিজ এলাকাটি খুবই সম্ভাবনাময়। আমরা সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এখানে বড় আকারে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার দাবি জানাই।’

CHor-3

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘মানুষের ব্যাপক চাহিদা ও সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে নতুন ব্রিজ এলাকাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এখানে আলোকায়নসহ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। আগামীতে আরও কাজ করার চেষ্টা করা হবে।’