এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় সড়ক। এসময় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। সড়কের পাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় টাঙ্গাইল পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রসহ বিভিন্ন সড়কে বৃষ্টির পর এমন অবস্থা দেখা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন- বৃষ্টির পর পানির নিচে সড়ক আছে তা বোঝার উপায় থাকে না। মনে হয় ছোট ছোট খাল ছড়িয়ে আছে শহরজুড়ে। পানির নিচে থাকা এসব সড়কে চলাচলে অনেকেই পড়ছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এমন দুর্ভোগ থেকে উত্তরণে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতির দাবি জানিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি টানা প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টির পর সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদর সড়কের টাঙ্গাইল ক্লাব, পৌর উদ্যান, প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে জমেছে হাঁটু পানি। খুব কষ্ট করে চলাচল করছেন পথচারীরা। কিন্তু এসব সড়কে কলেজবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়েন তারা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নাগরিকরা হাঁটু সমান ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট করেই যাতায়াত করেন তখন।
পথচারীদের সঙ্গে কথা হলে কয়েকজন অভিযোগ করেন, সড়ক পাকা হলেও একটু বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি নামতে সমস্যা হওয়ায় ময়লা-আবর্জনাসহ দুর্গন্ধযুক্ত পানি সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। এসবের মধ্যেই বাধ্য হয়ে নাগরিকদের চলাচল করতে হয়।
ফরিদা আক্তার নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। ওই সময়টাতে কোনও রিকশাও পাওয়া যায় না। ফলে সড়কে হাঁটু পানি ভেঙেই বাসায় ফিরতে হয়। এ সময় অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।’
রিকশাচালক মো. রাজু বলেন, ‘এ রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর এ জলাবদ্ধতা থেকে যায় দীর্ঘ সময়। এ সড়কের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না।’
এ সময় মেয়র পৌর এলাকার সড়ক প্রশস্তকরণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।