‘রিসোর্টে মামুনুল ধর্ষণ করেছেন’ আদালতকে জানালেন সাক্ষীরা

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে আরও দু’জন সাক্ষী দিয়েছেন। বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে মামলার বাদীকে মামুনুল হক ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতকে জানান তারা। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মামুনুল হক এর বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষীরা আদালতকে বলেছেন, সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ঘটনার দিন তারা সেখানে মামুনুল হককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এলোমেলো জবাব দেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ওই নারী ও মামলার বাদীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‍‍‍‍“মামুনুল হক আমাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে ধর্ষণ করেছেন”।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘ছয় জনের মধ্যে দু’জন আজ সাক্ষী দিয়েছেন। দু’জনের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান এবং অন্যজন এএসআই রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল।’

আদালতে সাক্ষী দেওয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এটি একটি সাজানো ও মিথ্যা মামলা। পুলিশ পরিদর্শক আদালতে বলেছেন, ‘সেখানে মামুনুল হককে গ্রেফতার করার মতো কারণ ছিল না। সে কারণে আমরা তাকে গ্রেফতার করিনি।’

এর আগে, সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় ষষ্ঠ ধাপে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।