কিশোরীকে ধর্ষণ-হত্যার ১২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নবী হোসেনকে (৩৭) গেফতার করা হয়েছে। হত্যার পর দীর্ঘ ১২ বছর পলাতক থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বগাদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১।

মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত নবী হোসেন আড়াইহাজার উপজেলার বগাদী এলাকার জায়েদ আলীর ছেলে।

সন্ধ্যায় র‌্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) মো. রিজাওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘২০১০ সালের ১ জানুয়ারি সোনারগাঁয়ের সাদিপুর এলাকায় এক কিশোরীকে (১৬) বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এবং কিশোরীর গলায় রুমাল পেচিয়ে হত্যা করে নবী হোসেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর পাশের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো আসামি নবী হোসেন। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে নবী হোসেন দীর্ঘ ১২ বছর আত্মগোপনে ছিল। এদিকে চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামি নবী হোসেনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। পরের দিন ২৮ অক্টোবর বিকালে আড়াইহাজারের বগাদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এর একটি টিম। আসামিকে আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামি নবী হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি নবী হোসেন পলাতক ছিলেন। 

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি এক কিশোরীকে নবী হোসেন ধর্ষণ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে আসামির রুমাল ও মোবাইল দেখে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। তবে আসামি নবী হোসেন জামিনে গিয়ে পলাতক ছিলেন।