উপনির্বাচন

ফরিদপুরে চলছে ভোটগ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম

ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। দুই-একজন করে ভোটার আসছে।

জানা গেছে, ঢাকার নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবকিছু পর্যবেক্ষণের জন্য এক হাজার ৫২টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

আমিনউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে পুরুষ ভোটার দুই হাজার ৮৬ জন, নারী ভোটার রয়েছে ১ হাজার ৯৯৬ জন। এখন পর্যন্ত ১০০ ভোটও কাস্ট হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’

আমিনউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মাহাবুল করিম বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম।’

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।’

ফরিদপুর-২ আসনটি নাগরকান্দা, সালথা উপজেলা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ৪৭২। এর মধ্যে নগরকান্দা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৫। সালথা উপজেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬০ ও সদরপুরের কৃঞ্চপুর ইউনিয়নে ২৮ হাজার ১৩৭ ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। এই নির্বাচনে ১২৩ ভোট কেন্দ্রে ৮০৬টি ভোট কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু (নৌকা প্রতীক) এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বটগাছ প্রতীক)।