ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পেটালো প্রাক্তন ২ ছাত্র

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার উপজেলার হরগজ শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে  রক্তাক্ত করেছে স্কুলেরই প্রাক্তন দুই ছাত্র। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের ইংরেজি ও শরীর চর্চা বিভাগের শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে বেধড়ক পিটুনি দিলে তার মুখে  মারাত্মক জখম হয় এবং চারটি সেলাই দিতে হয়েছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষককে মারধর করা হচ্ছে এমন খবর শুনে আমরা ছুটে আসি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার মুখে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, আমাদের স্কুলেরই সাবেক দুই ছাত্র আলামিন ও রমজান আলী সজল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন হলেন- একই গ্রামের মো. রফিকের ছেলে আল আমিন (২১) ও রহমানের ছেলে রমজান আলী সজল (২১)।

আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি স্কুলের কাছে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলাম। তখন আমার মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে কল আসে। ফোন রিসিভ করলে স্কুলে ঢোকার আগে গেটের সামনে দেখা করতে বলে বখাটে আলামিন ও রমজান। পরে শিক্ষার্থীদের পড়ানো শেষ করে ১০টার দিকে গেটের সামনে এলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় হরগজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, স্কুলের শিক্ষককে মারধর করেছে এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি এমন বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নুরুল হক বলেন, শিক্ষক পেটানোর ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক মারধরের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।