‘আত্মীয় পাতিয়ে’ শিশুকে অপহরণ, গ্রেফতার ২

গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থেকে অপহরণের দুই দিন পর ছয় মাসের শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপহরণকারীসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) টঙ্গী পূর্ব থানার আমতলীর কেরানীটেক এলাকার ক্রেতা আখি বেগমের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী শিশুর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-পূর্বধলা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের মেয়ে জিনা বেগম ওরফে লতা (২৮) এবং শিশুর ক্রেতা টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আমতলীর কেরানীটেক এলাকার মৃত মারফত আলীর মেয়ে আঁখি বেগম (৪০)। 

বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) চৌধুরী মো. তানভীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও পূবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন জানান, শিশুটির বাবা গত  ১০ মাস ধরে পূবাইল থানার করমতলা এলাকার আমির হোসেনের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়ায় থাকেন।তিন হকারি করেন এবং তার স্ত্রী স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কয়েকদিন আগে জিনা বেগমের সঙ্গে শিশুটির বাবার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে দুই দিন ধরে তাদের বাসায় আসা-যাওয়া শুরু করেন জিনা।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকালে এসে শিশুটির মাকে খাবার দিতে বলেন। এর আগেই তার বাবা জরুরি কাজে স্থানীয় মীরের বাজার চলে যান। এ সময় শিশুটির মা রান্নাঘরে গেলে তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান জিনা। বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে বৃহস্পতিবার জিনাকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। এরপর অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার আমতলী (কেরানীরটেক) বস্তিতে আঁখি বেগমের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং দুই জনকে গ্রেফতার করে। 

জিজ্ঞাসাবাদে আঁখি পুলিশকে জানান, তার চার মেয়ে রয়েছে। কোনও ছেলে সন্তান না থাকায় ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ওই শিশুকে কিনে নেন। বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই আবুল হোসেন।